History

ইতিহাস ঐতিহ্যে ভরপুর রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা। এ উপজেলায় ২টি পৌরসভা এবং ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। ১টি মডেল থানা রয়েছে। দিগ্বিদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাতছানি। শিক্ষা দীক্ষায় অন্যান্য উপজেলার থেকে গোদাগাড়ী উপজেলা অনন্য। এখানকার মানুষ শান্ত প্রকৃতির। বরেন্দ্রের পোড়া মাটির এ অঞ্চলটি সুষ্ক মৌসুমে যেমন ফেটে চৈচির হয়ে যায়। এখানকার মানুষ তেমনটি নয়। রাজনৈতিকভাবেও এ এলাকায় কোন প্রকার হানাহানি নেয় বললেই চলে। সকল দল মতের লোকেরা জাতপাত ভুলে এক সাথে চায়ের আড্ডায় বসে। গোদাগাড়ী পৌরসভা সদরের অদূরেই মহিশালবাড়ী অবস্থিত। অত্র উপজেলার মধ্যে মহিশালবাড়ী এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল একটি এলাকা। এ এলাকায় শিক্ষার হারও অনেক। মহিশালবাড়ী বাজারের পার্শ্বঘেঁষা শাহ সুলতান রহঃ কামিল মাদরাসা। শাহ সুলতান মূলত এ এলাকার একজন নামকরা দ্বীন প্রচারক পীর। এ অঞ্চলে তিনিই সর্ব প্রথম দ্বীনে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা পালন করেছিলেন।

** চতুর্দশ শতাব্দিতে হযরত শাহ্‌ সুলতান (রহ:) ও ঝুনঝুনি শাহ্‌ ইসলাম প্রচার করতে রাজশাহী অঞ্চলে আসেন। আরব অঞ্চল থেকে আসার পর হযরত শাহ্‌ মখদুম রাজশাহী শহর এলাকায় থেকে গেলেও তার শিষ্য শাহ্‌ সুলতান ও ঝুনঝুনি শাহ্‌ গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে আসার পর মৃত্যুবরণ করেন। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের ডান পার্শ্বে শাহ্‌ সুলতানকে ও বাম পার্শ্বে ঝুনঝুনি শাহ্‌কে দাফন করা হয়। প্রতিবছর মাঘ মাসের প্রথম দিকে ঔরশ উপলক্ষ্যে শাহ্‌ সুলতান ও ঝুনঝুনি শাহ্‌র মাজারের পার্শ্বে মাসব্যাপি মেলা বসে। কিন্তু ১৯৯৫ সাল থেকে মাজারের ঔরশ অনুষ্ঠিত হলেও মেলাটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। **

তার নাম অনুস্বরণ করেই প্রতিষ্ঠানের নাম করন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি 1964 সালে স্থাপিত হয়। এখানে এবতেদায়ী প্রথম শ্রেণি থেকে কামিল পর্যন্ত পড়া লেখা করা হয়। এখানে প্রায় ১০০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

ভবিষ্যতে এ প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয় করা।
আল্লাহ সহায় হোন।